Monday, May 8, 2017

কক্সবাজার পৌরসভা ডিজিটাল সেন্টার থেকে সেবা পেয়েছেন দেড় লাখ মানুষ


 দেশের প্রথম শ্রেণীর কক্সবাজার পৌরসভা এটি। বিভিন্ন সেবামুলক কাজের পাশাপাশি কক্সবাজার পৌরসভার ডিজিটাল সেন্টার থেকে এই পর্যন্ত সেবা পেয়েছেন দেড় লাখ মানুষ। নিয়মিত দ্ইুজন উদ্যোক্তা এই ডিজিটাল সেন্টার থেকে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এ সেবার মধ্যে রয়েছে জন্ম নিবন্ধন সনদ,মৃত্যু নিবন্ধন সনদসহ বিভিন্ন সরকারী ফরম।
তবে ডিজিটাল সেন্টার থেকে আরো ব্যপককারে সেবার দেওয়া নিময় থাকলেও আরো কিছু সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেবা প্রার্থীরা। এখান থেকে ই-মেইল, ইন্টারনেট, ছবি তোলা,কম্পিউটার প্রশিক্ষণ,জমির খতিয়ানের জন্য আবেদন ও সরবারহ, মোবাইল ব্যংকিং, ফটোকপি,জীবন বীমা,আইডি কার্ড, ছাপার কাগজ,বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ,কম্পিটার কম্পোজ, ওয়ারিশ ও প্রত্যায়ণ পত্র কম্পিউটারাইজ। কক্সবাজার পৌরসভার ডিজিটাল সেন্টারটি আকারে ছোট হওয়ায় এই সেবা গুলো পাচ্ছে না পৌরবাসী। ডিজিটাল সেন্টার থেকে না পাওয়া সেবা গুলো পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকের কাছে দাবী তুলেছেন এলাকার সচেতন মহল।
কক্সবাজার ডিজিটাল সেন্টার থেকে পাওয়া তথ্যে সূত্রে জানা যায়, জন্ম নিবন্ধন সনদ,মৃত্যু নিবন্ধন সনদসহ বিভিন্ন সরকারী ফরম পৌরসভার ১২ ওয়ার্ড মিলে সেবা নিয়েছেন দেড় লাখ ৪৫ হাজার ১৮ জন। তার মধ্যে নারী সেবা প্রার্থী হলো ৬৭ হাজার ৬শ’ ৩০ জন। পুরুষ সেবা প্রার্থী ৭৭ হাজার ৪শ’ ৮৮ জন।
১নং ওয়ার্ড নারী পুরুষ মিলে ১৬ হাজার ৯শ’৪৪ জন। ২নং ওয়ার্ড ১১ হাজার ৯শ ৩৭ জন। ৩ নং ওয়ার্ড ৮ হাজার ৯শ’ ৬০ জন। ৪ নং ওয়ার্ড ১০ হাজার ৬শ’ ৮৫ জন। ৫নং ওয়ার্ড ২০ হাজার ১শ ৬৫ জন। ৬নং ওয়ার্ড ১০ হাজার ৭শ’ ২৭ জন। ৭নং ওয়ার্ড ২২ হাজার ৯শ’ ৫৭ জন। ৮নং ওয়ার্ড ১১ হাজার ৪শ’ ১৮ জন। ৯নং ওয়ার্ড ১৩ হাজার ১শ’ ৭১ জন। ১০ ওয়ার্ড ৫ হাজার ১শ’৯৯ জন। ১১ নং ওয়ার্ড ৫ হাজার ২শ’ ৬৪ জন। সর্বশেষ ১২ নং ওয়ার্ড থেকে সেবা পেয়েছেন ৭ হাজার ৬শ’ ৯২ জন।
সরকার ২০১০ সালের দিকে তথ্য সেবা কেন্দ্র হিসাবে এই সেবা সেন্টার চালু করেন। এর পর ২০১৩ সালের দিকে নাম পরিবর্তন করে পুরো দমে ডিজিটাল সেন্টার হিসাবে চালু রয়েছে। দেশের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক অফিসে এই ডিজিটাল সেন্টার চালু রয়েছে। সারাদেশে কয়েক লক্ষাধিক এই রকম ডিজিটাল সেন্টারে মানুষ প্রতিনিয়ত এই সেবা পাচ্ছেন।
খোঁজখবর নিয়ে জানাগেছে,কক্সাবাজার পৌরসভার চেমন আরা ও মোহাম্মদ আনিছ নামে এই দুইজন উদ্যোক্তার বেতন ভাতা তেমন সুবিধাজনক না হওয়ায় ভাল নেই তারা। এর পরেও রাত দিন নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন । এখান থেকে ই-মেইল, ইন্টারনেট, ছবি তোলা,কম্পিউটার প্রশিক্ষণ,জমির খতিয়ানের জন্য আবেদন ও সরবারহ, মোবাইল ব্যংকিং, ফটোকপি,জীবন বীমা,আইডি কার্ড, ছাপার কাগজ,বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ,কম্পিটার কম্পোজ, ওয়ারিশ ও প্রত্যায়ণ পত্র কম্পিউটারাইজ, এই কাজ গুলো ইউনিয়ন ডিজিটাল সেবা সেন্টার করে থাকে। এই কাজের বিনিময়ে উদ্যোক্তরা কিছু সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এইটির সুবিধা পাওয়া তাদের জন্য নিয়মও রয়েছে। তবে কক্সবাজার পৌরসভার ক্ষেত্রে এই কাজ গুলো না হওয়ায় ভাল যাচ্ছে না কক্সবাজার পৌরসভার উদ্যোক্তাদের দিনকাল।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র(ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, কক্সবাজার পৌরসভা সাধ্যমতো মানুষের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবকিছুর আরো উন্নত মানের করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে সকল পৌরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

No comments:

Post a Comment